- ইলেকট্রোড নির্বাচনের বাঁধা ধরা তেমন কোন নিয়ম নেই, তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ওয়েল্ডারের অভিজ্ঞতা এবং কাজের গুরুত্ত্বানুযায়ী তা নির্বাচিত হয়।
- অধিক পুরুত্বের ধাতু ওয়েল্ডিং করতে অপেক্ষাকৃত বড় ব্যাশ বিশিষ্ট ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়।
- খরচ কম রাখার জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ব্যাসের ইলেকট্রোড নির্বাচন করতে হবে।
- জোড় এর রুট রানের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ব্যাস বিশিষ্ট ইলেকট্রোড নির্বাচন কর।
- এক্ষেত্রে ১০ গেজি বা ৩.২ মিমি ব্যাসের ইলেকট্রোড ব্যবহার কর।
- পেনিট্রেশনের জন্য প্রায় ১.৫ মিমি রুট গ্যাপ রাখ।
- চিত্রানুযায়ী পাত দুইটির দুই প্রান্তে এবং মাঝে একটি ট্যাক ওয়েল্ড কর।
- কার্যবস্তুকে অতিরিক্ত ২-৩° কোণে প্রি-সেট কর, যেন ওয়েন্ডিং করার পর তা ৯০° হয়।
- ট্যাকের উত্তর অংশ চিজেল ও হ্যান্ড গ্রাইভার যারা গ্রাইন্ডিং কর।
ওয়ার্কপিস ট্যাক ওয়েল্ড করা :
- যে পাতটির মাঝখানে গাদ টানা হয়েছে, উক্ত দাগের অপর পাতটি ৯০° কোণে খাড়া করে রাখ।
- ইলেকট্রোড নিচের পাতটির সাথে ৩০° হতে ৪৫° কোণে ধরে ট্যাক ওয়েল্ড কর ।
- ট্যাক ওয়েল্ড ৮ মিলিমিটার হতে ১০ মিলিমিটর লম্বা হতে পারে।
- এরূপ ট্যাক ওয়েল্ড ২ প্রান্তে দুইটি এবং মাঝে একটি কর।
ওরেল্ড সম্পন্ন করতে পারাঃ
- ইলেকট্রোডকে পার্শ্বের সাথে ৪৫° কোণে রাখি।
- ইলেকট্রোড ঢাল ওয়েন্ডিং লাইন বরাবর ৭০° ৮০° কোণে রেখে রুট রান টানতে আরম্ভ কর।
- কার্যবস্তুর শেষ পর্যন্ত ওরেন্ড করে প্রথম রান (রুট রান) সম্পন্ন কর।
- স্পগগুলো চিপিং কর এবং ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার কর।
- দ্বিতীয় এবং পরবর্তী ফিলিং রানসমূহ ওয়েল্ড করা ।
- কিছুটা বুনন প্রক্রিয়ায় ওয়েন্ড কর এবং প্রত্যেক প্রান্তে ক্ষণিকের জন্য ধাম।
- সঠিক আর্ক লেংথ বজায় রাখ।
- প্রত্যেক রানের জন্য ইলেকট্রোড প্লেটের পার্শ্বের সাথে ৪৫° কোণ এবং ওয়েন্ডিং এর দিকে ৭০°-৮০ কোণ বজায় রাখ।
- পুরু শেটের জন্য একাধিক রানের ওয়েল্ড কর।
- সর্বশেষ রান অর্থাৎ ক্যাপিং রান ওয়েন্ড করতে ইলেকট্রোড রেডিয়াল বুনন প্রক্রিয়ায় চালনা কর।
- ইলেকট্রোড যারা কেবলমাত্র ফিস্টশন ফেসের বার স্পর্শ কর।
- উপরের পৃষ্ঠ উত্তল আকৃতিতে ওয়েল্ড কর।
- বৃত্তাকার গতিতে ইলেকট্রোড চালনা করে রান শেষ কর এবং স্পগ পরিষ্কার কর।
কথায় বলে Prevention is better than Cure অর্থাৎ প্রতিরোধ সর্বোত্তম পন্থা। তাই জোড় করার সময় যদি ভালো তদারকি করা হয়, তবে ত্রুটি বিচ্যুতি অনেক বেশি ধরা পড়ে। যা নিরাময় করা সম্ভব হয়। জোড়ের সময় দেখতে হবে -
- ইলেকট্রোডের কোণ ঠিক আছে কীনা?
- ইলেকট্রোড চালনার গতি ঠিক আছে কীনা?
- আর্ক লেংথ সঠিকভাবে বজায় রেখেছে কীনা?
- রানের বিডের বুননগুলো টিকমত হচ্ছে কীনা?
- প্রতি রানের পর জোড়স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করছে কীনা?
জোড় প্রস্তুতির পর জোড় মূল্যায়নের জন্য দেখতে হবে :
- জোড় যথাযথভাবে পরিষ্কার করছে কীনা?
- ওয়েল্ড জোড় আন্ডার কাটমুক্ত কীনা?
- স্পগ, ওভার ল্যাপ যুক্ত কীনা?
- ওয়েল্ড গেজের সাহায্যে উত্তল আকৃতি নিরীক্ষণ কর।
১। সমতল অবস্থানে আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে সারফেস প্রিপারেশনসহ কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বৰ্ণনা কর।
২। আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে ট্যাক ওয়েল্ডকরণ পদ্ধতি উল্লেখ কর।
৩। আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে কারেন্ট সেটকরণ শনাক্ত কর ।
৪। আউট সাইড কর্নার জোড়ের সময় ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার পতি, বুননের নিয়ম, আর্ক লেংথ ইত্যাদি বর্ণনা কর।
৫। আউট সাইড কর্নার জোড়ের সময় পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
৬। আউট সাইড কর্নার জোড় শেষে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
Read more